Revolutionary democratic transformation towards socialism

জাহাঙ্গীরনগরসহ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনো দ্রব্যমূল্য কমাও, হামলা-নির্যাতন বন্ধ কর -বাম গণতান্ত্রিক জোট

আজ ২৪ নভেম্বর, রবিবার বাম গণতান্ত্রিক জোটের পরিচালনা পরিষদের সভা জোট সমন্বয়ক ও সিপিবি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল্লাহ ক্বাফী রতনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম, বাসদ-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির সদস্য শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী, ইউসিএলবি’র সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক। সভায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান পরিস্থিতি আলোচনা করা হয়। নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকারের ভূমিকার কারণে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতিবাজ উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়ে গায়ের জোরে ক্যাম্পাসে অবস্থান করছে। ছাত্র-শিক্ষকদের উপর নজরদারি করে তাদের ফোনালাপ ফাঁস করার মত অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নেতৃবৃন্দ দুর্নীতিবাজ উপাচার্যের অপসারণ, হল খুলে দেয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা, দুর্নীতির অভিযোগসমূহ তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। নেতৃবৃন্দ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে আবরার হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি মেনে নিয়ে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনারও দাবি জানান। সভার অন্য এক প্রস্তাবে পেঁয়াজ-চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিতে তীব্র ক্ষোভ জানানো হয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের মন্ত্রীরা বক্তৃতা বিবৃতিতে দ্রব্যমূল্য কমার বক্তব্য দিয়ে চলেছেন। বাস্তবে এর কোনো প্রতিফলন বাজারে দেখা যাচ্ছে না। নানা অজুহাতে সরকারের মদদপুষ্ট ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে জনগণের পকেট থকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে নিচ্ছে। তাঁরা ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট প্রতিরোধ করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। নেতৃবৃন্দ মাদারীপুর, কুমিল্লা, বরগুনায় সিপিবি’র পদযাত্রায় এবং ঢাকার সূত্রাপুরে বাসদের সমাবেশে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, হামলা নির্যাতন করে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে বামপন্থীদের সংগ্রাম থেকে বিরত রাখা যাবে না। নেতৃবৃন্দ ৩০ ডিসেম্বর ভোট ডাকাতির প্রতিবাদে ‘কালো দিবস’ পালন করার জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন

Login to comment..