বাংলাদেশের
কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)র সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ
সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স এক বিবৃতিতে আজ ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধের ওপর
অনুষ্ঠিত এক আলোচনাসভায় মব-সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি, নৈরাজ্যকারীদের
বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, সাংবাদিক
গ্রেপ্তারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ নৈরাজ্য
সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে
সিপিবির নেতৃবৃন্দ বলেন, ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর একটি
শক্তি সারাদেশে মব-সন্ত্রাস চালাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী একটি চিহ্নিত
শক্তি একাত্তর আর চব্বিশকে মুখোমুখি দাঁড় করাতে চাইছে। মুক্তিযুদ্ধ ও
মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর নানাভাবে আক্রমণ হচ্ছে। স্বঘোষিত ‘জুলাইযোদ্ধা’রা আজ
মুক্তিযুদ্ধের ওপর অনুষ্ঠিত এক আলোচনাসভায় যেভাবে মব-সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে
তা ন্যক্কারজনক। এরা প্রকৃতপক্ষে চব্বিশের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষায় দেশ
পরিচালনায় বাধা সৃষ্টি করছে এবং পরাজিত ফ্যাসিস্টবাহিনীর পূনর্বাসনে কাজ
করছে। তারাও ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাস চালাচ্ছে। এদেরকে প্রতিরোধ করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ
আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা
ঘোষণা করেছেন। নির্বাচন কমিশনও রোডম্যাপের কথা বলেছে। এই অবস্থায়
গণতন্ত্রবিরোধী একটি শক্তি প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে নির্বাচন বানচালের নানা
অপচেষ্টা ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এ বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে।
মহান মুক্তিযুদ্ধের অপব্যবহারকারীদের মুক্তিযুদ্ধকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার
করার মাধ্যমে পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তি যাতে পুনর্বাসিত হতে না পারে, সে
বিষয়েও দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে।
বিবৃতিতে সিপিবির নেতৃবৃন্দ
মব-সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সরকারের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ ও
নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, দেশবাসী বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করল যে, পুলিশবাহিনী
মব-সন্ত্রাস সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে আক্রান্ত
মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে। সরকারের এই ভূমিকা
মব-সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী এবং মুক্তিযুদ্ধ ও চব্বিশের
গণ-অভ্যুত্থানের বিরোধীদের উৎসাহিত করছে এবং সরকার নিরপেক্ষতা হারিয়ে
বিতর্কের মধ্যে পড়ছে।