Revolutionary democratic transformation towards socialism

"স্বৈরাচারী সরকারের মত জনগণের পকেট কাটার নীতি নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার"


বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স আজ ১০ জানুয়ারি ২০২৫ এক বিবৃতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, জনজীবনের সংকট নিরসনের জন্য মধ্যস্বত্বভোগী ও সিন্ডিকেটের বিলোপ, সর্বজনীন রেশন ব্যবস্থা ও ন্যায্য মূল্যের দোকান চালুর দাবি বাস্তবায়ন না করে সরকার টিসিবির কর্মসূচির ট্রাক সেল বন্ধ করাসহ ৪৩ লাখ পরিবার কার্ড বাতিল করে প্রায় অর্ধকোটি মানুষের পরিবারেরকে কম মূল্যে পণ্য দেওয়া থাকে বঞ্চিত করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকার সাধারণ মানুষের ওপর অপ্রত্যক্ষ কর বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে যেমন- সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন খাদ্য বিস্কুট, সাধারণ হোটেল, মোবাইল রিচাজর্, গ্যাসসহ অপরিহার্য পণ্যের ওপর ভ্যাট বৃদ্ধি করা হয়েছে। যা সাধারণ মানুষের জীবনকে অতিষ্ট করে তুলবে।

উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং আইএমএফের চাপে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই সিদ্ধান্ত প্রান্তিক, স্থায়ী উপার্জনকারী এবং নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষের উপর যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, তা দেশের অর্থনীতিতেও সংকট তৈরি করবে।

এসব সিদ্ধান্ত প্রকারান্তরে স্বৈরাচারী সরকারের মত জনগণের পকেট কাটার নীতি। যা নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

বিবৃতিতে অবিলম্বে সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাতিল, বিদেশে পাচারকৃত অর্থ, খেলাপি ঋণ আদায় ও ধনীদের প্রয়োজনীয় বিশেষ কর আরোপের আহ্বান জানান হয়েছে।

অপর এক বিবৃতিতে ময়মনসিংহে মাজারে হামলা, রানীশংকৈল এর অনুষ্ঠান পন্ডসহ বিভিন্ন স্থানে 'মব' এর নামে অরাজকতা সৃষ্টির তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত ও এদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং জনজীবনে নিরাপত্তা বিধানের দাবি জানান হয়েছে।

বিবৃতিতে জনজীবনের সংকট নিরসন ও নিজস্ব দাবি আদায়ে সচেতন এবং সংগঠিত হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান হয়।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন

Login to comment..