Revolutionary democratic transformation towards socialism

১৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মধ্য দিয়ে প্রতিক্রিয়ার ধারা নিরঙ্কুশ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের ৫০তম বার্ষিকীতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি)’র উদ্যোগে আজ ১৫ আগস্ট ২০২৫, শুক্রবার, বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ মুক্তিভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড মো. শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্য বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক কমরেড মিহির ঘোষ, কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক কমরেড আনোয়ার হোসেন রেজা, রাগীব আহসান মুন্না, হাসান তারিক চৌধুরী সোহেল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জাহিদ হোসেন খান, ডক্টরস ফর হেলথ এন্ড এনভায়রনমেন্ট-এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. শফিকুল ইসলাম ও বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের সভাপতি খান আসাদুজ্জামান মাসুম।

আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রতিক্রিয়াশীল ক্যু সংগঠিত হয়। এই রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মধ্য দিয়ে প্রতিক্রিয়ার ধারা নিরঙ্কুশ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। 

নেতৃবৃন্দ বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ২১ বছর পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ দু’দফায় ২৩ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকলেও তারা বঙ্গবন্ধুর নীতি থেকে সরে গিয়ে মোশতাক-জিয়া-এরশাদ

অনুসৃত নীতিধারায় দেশ পরিচালনা করেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা এবং যাওয়ার প্রতিযোগিতায় স্বাধীনতা বিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তির সাথে হাত মেলাতে কুন্ঠাবোধ করেনি। ক্ষমতায় থাকার জন্য তারা ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠায়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ না করে লুটেরা ধনিক শ্রেণিকে খুশি করতে সিন্ডিকেটকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়। এতে জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে ২০২৪ -এর জুলাইয়ে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যূত্থানে শেখ হাসিনার পতন হয়। গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। 

নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা দুঃখের সাথে লক্ষ্য করছি গণঅভ্যুত্থানের এক বছর অতিক্রম হলেও গণঅভ্যুত্থানের জনআকাঙ্ক্ষা আজও বাস্তবায়িত হয়নি। বরং গণঅভ্যুত্থানের এজেন্ডা পরির্বতন করে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য, রাষ্ট্রের চার মূলনীতির উপর লাগতার আক্রমণ করে যাচ্ছে স্বাধীনতা বিরোধী চরম দক্ষিণপন্থী প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী। 

নেতৃবৃন্দ বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ নয় মুক্তিযুদ্ধের ধারায় বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনতে বাম গণতান্ত্রিক বিকল্পের শক্তি সমাবেশ গড়ে তুলতে হবে আমাদের। সেটাই হবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রেষ্ঠ সম্মান প্রদর্শন।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন

Login to comment..