Revolutionary democratic transformation towards socialism

নিরপেক্ষতার প্রমাণ দিয়ে সরকারকে অবিলম্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে


গণঅভ্যুত্থান দিবসে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র উদ্যোগে সমাবেশ, মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৫ আগস্ট পুরানা পল্টনে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম। বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, গণঅভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষা ছিল বৈষম্যহীন সমাজ ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। কিন্তু এক বছরেও ইউনুস সরকার তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। বৈষম্যমুক্তির পথ নিয়ে কোনো আলোচনাও হচ্ছে না। বিভিন্ন বিষয়ে সংস্কারের কথা হলেও কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দারিদ্র্য বিমোচনসহ জনস্বার্থের বিষয় নিয়ে সংস্কার কমিটি গঠন করা হয়নি।

নারী অধিকার নিয়ে কথা হলেও এর বিরুদ্ধাচারণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, গণঅভ্যুত্থানকে ব্যবহার করে দেশের রাজনীতিতে দক্ষিণপন্থী প্রতিক্রিয়াশীল চক্র আরো বেশি মাত্রায় সক্রিয় হয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্টের দিন থেকেই মহান মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করে এর অর্জন, ইতিহাস-ঐতিহ্য মুছে ফেলতে চাইছে। যা মুক্তিকামী দেশপ্রেমিক মানুষ কোনোভাবেই মেনে নিবে না।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নানান কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে নিজেই নিজেকে বিতর্কিত করে ফেলেছে। বিশেষ দল ও গোষ্ঠীর প্রতি তাদের পক্ষপাতিত্ব দেখা যাচ্ছে। ইউনুস সরকার তাদের নিরপেক্ষতা  হারিয়েছে। নেতৃবৃন্দ

অবিলম্বে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।

নেতৃবৃন্দ বলেন, গোপন চুক্তি করে সরকার রাজনীতি, অর্থনীতি, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিদেশিদের হাতে তুলে দিচ্ছে।

২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারেনি। শেখ হাসিনার সরকার ছিল গণতন্ত্র ও গণবিরোধী সরকার, বর্তমানে যারা নির্বাচনের বিরোধিতা করছে তারাও গণতন্ত্র ও গণবিরোধী শক্তি। নেতৃবৃন্দ বলেন, এদের বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করতে রাস্তায় নামতে হবে।

সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন

Login to comment..