মহান বিজয় দিবসে আজ ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ সকাল ১১টায় জাতীয় স্মৃতিসৌধে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র নেতাকর্মীরা শোভাযাত্রা করে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এসময় সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন রেজা, ডা. সাজেদুল হক রুবেল, লূনা নুর, আবিদ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ ডা. ফজলুর রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আহসান হাবিব লাভলু, মানবেন্দ্র দেব, লাকি আক্তার, আশরাফুল আলম, জাহিদ হোসেন খান, সাদেকুর রহমান শামীম সহ বিভিন্ন গণসংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং পার্টির নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সভাপতি, বাম গণতান্ত্রিক জোটের অন্যতম নেতা মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, পাকিস্তানি শাসকদের পরাজিত করে আমরা যে শাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চেয়েছিলাম,তা পারিনি। এর জন্য ৯০ এর গণঅভ্যুত্থান করতে হয়েছে। ২০২৪ এ আবার অসংখ্য মানুষের রক্তের বিনিময়ে অভ্যুত্থান করতে হয়েছে।
তিনি বলেন, এই অভ্যুত্থানের অন্যতম লক্ষ্য হলো গণতন্ত্র, গণতন্ত্র, গণতন্ত্র। এজন্য তিনি অবিলম্বে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানান।
তিনি
আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন শোষণহীন সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চলবে। দেশবাসীকে এই সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে শহীদদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হবে।
জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)'র সাধারণ সম্পাদক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি সাম্প্রদায়িক, স্বৈরাচারী, বৈষম্যের রাষ্ট্রের বিপরীতে বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গড়তে চেয়েছিলাম। ৫৩ বছরে ক্ষমতায় থাকা শাসকরা এটি করেনি। দেশকে নিজেদের জমিদারি ও অবাধ লুটপাটের ক্ষেত্রে পরিণত করেছে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নপূরণ করতে বিপ্লবী গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের মাধ্যমে শোষণ বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি বলেন, এবারের গণঅভ্যুত্থানে বিজয়ের পরও আমরা স্বাধীনতা বিরোধীদের দাপট দেখছি। এদের দোসররাও সক্রিয়। এরা মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, এবারের অঙ্গীকার হবে "মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা ও স্বাধীনতাবিরোধীদের রুখে দাঁড়ানো এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষায় বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ে তোলার সংগ্রাম অগ্রসর করা।"