Revolutionary democratic transformation towards socialism

মার্কসবাদী তাত্ত্বিক, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক কমরেড যতীন সরকারের মৃত্যুতে সিপিবির শোক


বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাবেক সভাপতি, দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবী, মার্কসবাদী তাত্ত্বিক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক অধ্যাপক যতীন সরকারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়েছে সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটি। 

এক শোক বিবৃতিতে সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, অধ্যাপক যতীন সরকারের মৃত্যুতে দেশের সমাজতান্ত্রিক বাম-প্রগতিশীল আন্দোলনের এক গভীর শূন্যতা তৈরি হলো। সিপিবি হারালো অন্যতম অভিভাবককে। 
 
সিপিবির নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ আগস্ট নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার চন্দপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন অধ্যাপক যতীন সরকার। ১৯৬০-এর দশকে ময়মনসিংহের সাংস্কৃতিক অঙ্গণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন তিনি। যতীন সরকার দীর্ঘদিন উদীচীর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমৃত্যু তিনি আদর্শিক লড়াই-সংগ্রামের অন্যতম পথপ্রদর্শক হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। তিনি তার লেখনীর মাধ্যমে মতাদর্শিক লড়াই চালিয়ে গেছেন। 

অধ্যাপক যতীন সরকার আজীবন সামাজিক নিপীড়ন, বৈষম্য ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ সাম্যবাদী, অসাম্প্রদায়িক ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী দেশ গঠনে সচেষ্ট থেকেছেন। 

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। আজ ১৩ আগস্ট দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অধ্যাপক যতীন সরকার। 

সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, গ্রন্থকার হিসেবে জাতির মনন গঠনে অসামান্য অবদান রেখেছেন অধ্যাপক যতীন সরকার। ২০১০ সালে তিনি দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা, স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন। এছাড়া, বাংলা একাডেমী পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন এই খ্যাতিমান অধ্যাপক।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন

Login to comment..