তথাকথিত
অভিযানের নামে নায়িকা ও মডেলদের চরিত্র হনন ও সম্ভ্রমহানি বন্ধ,
ক্যাসিনো-মাদক ব্যবসা ও পর্ণোগ্রাফির পৃষ্ঠপোষক মাফিয়া গডফাদারদের
গ্রেফতার ও বিচার করার দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের উদ্যোগে আজ ১২ আগস্ট
সকাল ১১:৩০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাম জোটের
কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ।
বক্তব্য রাখেন জোটের নেতা বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড
সাইফুল হক, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য কমরেড আব্দুল্লাহ আল কাফী রতন,
গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশরেফা মিশু, বাসদ
(মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নির্বাহী ফোরামের সদস্য কমরেড মানস নন্দী,
ইউসিএলবি’র নেতা কমরেড নজরুল ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদক মন্ডলীর
সদস্য কমরেড বাচ্চু ভূইয়া, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয়
নেতা কমরেড রুবেল শিকদার। সভা পরিচালনা করেন বাসদ নেতা খালেকুজ্জামান লিপন।
বক্তাগণ
বলেন, সরকার করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়ন, টেস্ট, চিকিৎসা এবং
টিকা সংগ্রহ ও প্রয়োগে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। করোনা চিকিৎসা ও টিকা
নিয়ে সরকারের অব্যবস্থাপনা, পরিকল্পনাহীনতা-সমন্বয়হীনতা, নৈরাজ্য সৃষ্টি ও
দুর্নীতির জন্ম দিয়েছে। গণটিকা কার্যক্রমকে দলীয়করণ করে প্রতিটি টিকা
কেন্দ্রকে করোনা বিস্তারের হটস্পটে পরিণত করা হয়েছে।
বক্তাগণ বলেন,
সরকার যখন করোনা মোকাবিলাসহ সর্বক্ষেত্রে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে।
সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি, দুঃশাসনে মানুষ যখন ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে তখন তাকে আড়াল
করার জন্য নন ইস্যুকে সামনে এনে জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করছে।
সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতেই নায়িকা পরিমণি ও অন্যান্য মডেলসহ নারীদের চরিত্র
হনন, সম্ভ্রমহানি ও নানা কল্পকাহিনী ছড়ানো হচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন,
নাগরিকের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করা
সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রের দায়িত্ব। অথচ তা না করে রাষ্ট্র প্রশাসন ও পুলিশ
গ্রেফতারকৃত পরিমনিসহ অন্যদের সম্পর্কে মর্যাদাহানিকর বক্তব্য দিচ্ছে।
কতিপয় মিডিয়ায়ও তাদের সম্পর্কে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। অপরাধ প্রমাণের
আগেই তারা মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হচ্ছে। এতে করে সমাজে নারীদের সম্পর্কে
বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি হবে এবং নারীকে হেয় করতে মৌলবাদী ধর্মান্ধ শক্তির হাতেই অস্ত্র
তুলে দেয়া হবে এবং শেষ বিচারে শাসকদেরকেই লাভবান করবে শোষণমূলক
আর্থ-ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে।
নেতৃবৃন্দ ক্যাসিনো-মাদক ব্যবসায়ী ও পর্ণোগ্রাফির পৃষ্ঠপোষক মাফিয়া গডফাদার ও সিন্ডিকেটের হোতাদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেন।
সমাবেশ
শেষে প্রেসক্লাব থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল প্রেসক্লাব, তোপখানা রোড, পল্টন,
মুক্তাঙ্গন, নূরহোসেন স্কোয়ার হয়ে সচিবালয়ের পূর্বগেটে পুলিশী বাঁধার মুখে
সেখানেই সমাবেশ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে বিক্ষোভ শেষ করেন।